আজ সোমবার, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Important Notice: Dear Munna Khan, kindly settle Invoice #CIT-246357 ASAP. For any inquiries, feel free to contact us. Thank you! www.contriverit.com

সিদ্ধিরগঞ্জে পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের ফ্যাশন সিটি (কুনতং অ্যাপারেলস) গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় জড়ো হয়ে শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

এসময় সংহতি জানিয়ে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের নেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক, শ্রমিক নেতা আক্তার হোসেন, মানবাধিকার কর্মী ফরিদা ফরাজী ও কারখানার শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন- আদমজী ইপিজেডের ফ্যাশন সিটি (কুনতং অ্যাপারেলস) কর্তৃপক্ষ ছলচাতুরি করে গত চার মাস যাবত কারখানাটি লে-অফ করে রেখেছে। লে-অফ অনুসারে শ্রমিকদের যে কয় টাকা দেয়া হয় তা দিয়ে তাদের দুই বেলা খাবার জোগাড় হয় না। তাও সময় মতো দেয়া হচ্ছে না। ডিসেম্বর মাসের বকেয়া পাওনা ৭ জানুয়ারি পরিশোধের তারিখ দিয়ে কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেনি। ফলে শ্রমিকরা বকেয়া পাওনা আদায় ও কারখানা খোলার দাবিতে ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। তাদের সংকট সমাধানে বেপজা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি উল্টো আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা করা হয়েছে। এতে অনেক শ্রমিক গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।

শ্রমিক নির্যাতনের এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন- পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা করে আন্দোলন দমানো যাবে না। আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন করতে হবে। মঙ্গলবার কারখানা খোলার কথা ছিলো কিন্তু খুলা হয়নি। সকাল ৮ টায় শ্রমিকরা ইপিজেডের গেইটে গেলে পুলিশ তাদের দাঁড়াতে দেয়নি ভয়ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকরা পুলিশী ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। শ্রমিকদের এই ঐক্যশক্তিই তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনকে তরান্বিত করবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ ও কারখানা খুলে দিয়ে উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। অন্যথায় চলমান আন্দোলন আরো তীব্রতর করে দাবি আদায় করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।